কক্সবাজারে তরুণী গণধর্ষণে দুই ইউপি সদস্য গ্রেফতার

কক্সবাজারের মহেশখালীতে গণধর্ষণের শিকার তরুণী শুক্রবার রাতে মামলা করেছেন। সিএনজি অটোরিকশার চালক ওসমানকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের নামে ও অজ্ঞাতপরিচয় একজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন তিনি।

পুলিশ রাতেই ধর্ষণে অভিযুক্ত মনু মিয়াসহ আসামি কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য লিয়াকত আলী এবং একই ইউনিয়নের সংরক্ষিত ১ নম্বর সদস্য খতিজা বেগমকে গ্রেফতার করেছে। তাদেরকে শনিবার মহেশখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।

গণধর্ষণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) সফিকুল আলম জানান, ধর্ষণের শিকার তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মহেশখালী থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, গণধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা চেষ্টার অভিযোগ ওঠে ইউপি সদস্য লিয়াকত আলী খতিজা বেগমের বিরুদ্ধে। বাদির অভিযোগের ভিত্তিতে তারা এজাহার নামায় আসামি হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে।

তদন্ত কর্মকর্তা সফিকুল আলম বলেন, ধর্ষণে অভিযুক্ত গ্রেফতার মনু মিয়া চানলবিলা মাঝের পাড়ার আবদুর রশিদের ছেলে। জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এছাড়া, প্রথমে মাতারবাড়ীর ইউপি সদস্য শামীমা আক্তারের বিরুদ্ধে ওই তরুণীকে আটকে রেখে ঘটনা ধামাচাপার যে অভিযোগ ওঠে, তা সত্য নয়। বরং তাকে সার্বিক সহযোগিতা করেছে বলে তরুণী পুলিশ ও সাংবাদিকদের জানান। পাশাপাশি তরুণী ইউপি সদস্য শামীমাকে স্বাক্ষী করে মামলা করেছেন। গ্রেফতার দুই ইউপি সদস্য দাবি করেন, তারা ঘটনার সহযোগী নন। ধর্ষকরা এলাকার হওয়ায় মামলায় তাদের ফাঁসানো হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন